টাকা লেনদেন সংক্রান্ত প্রমাণ/দলিল – ৩পেইজ
টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম:
১. চুক্তির শিরোনাম
সরাসরি ও পরিষ্কারভাবে চুক্তির বিষয়বস্তু বোঝাতে হবে। যেমন:
টাকা লেনদেন সম্পর্কিত চুক্তিপত্র
২. চুক্তির তারিখ ও স্থান
চুক্তি কবে ও কোথায় হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে লিখতে হবে।
এই চুক্তিপত্রটি আজ ৩০ জুন ২০২৫, ঢাকা শহরে রচিত হলো…
৩. পক্ষদ্বয়ের পরিচিতি
উভয় পক্ষের পূর্ণ নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মসনদ নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
পক্ষ-১: মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতা: আব্দুল খালেক, ঠিকানা: ১২৩/এ, গুলশান, ঢাকা, এনআইডি: 0000000000
পক্ষ-২: মোঃ শহিদুল ইসলাম, পিতা: আব্দুল মজিদ, ঠিকানা: ৫৪/বি, ধানমন্ডি, ঢাকা, এনআইডি: 000000000000
৪. লেনদেনের বিবরণ
কত টাকা লেনদেন হয়েছে, কিভাবে হয়েছে (নগদ/ব্যাংক/চেক), এবং ফেরতের সময়সীমা কী – তা বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে।
পক্ষ-১, পক্ষ-২ কে নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র) ধার দিয়েছেন, যাহা পক্ষ-২ আগামী ৩০ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করিবেন।
৫. শর্তাবলি
ফেরত না দিলে কী হবে, বিলম্বে পরিশোধ করলে সুদ লাগবে কি না, এসব বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
উদাহরণ:
- সময়মতো টাকা ফেরত না দিলে প্রতিদিন ১% হারে বিলম্ব ফি যুক্ত হবে।
- পক্ষ-২ কোনো কারণ ছাড়াই অর্থ ফেরত না দিলে, পক্ষ-১ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
৬. সাক্ষী
কমপক্ষে ২ জন নিরপেক্ষ সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর সংযুক্ত করা উচিত।
৭. স্বাক্ষর
চুক্তিপত্রের শেষে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর ও তারিখ যুক্ত থাকবে।
✅ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
- সবসময় দু’পক্ষের এনআইডির ফটোকপি সংযুক্ত করুন।
- যদি সম্ভব হয়, চুক্তিপত্রটিতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সত্যায়িত করুন।
- ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করলে রশিদ বা স্টেটমেন্ট সংরক্ষণ করুন।
🔚 উপসংহার:
লিখিত চুক্তি একটি আইনি নিরাপত্তা প্রদান করে। এটি উভয় পক্ষের মধ্যে বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই যে কোনো বড় অঙ্কের লেনদেনে অবশ্যই একটি লিখিত চুক্তিপত্র তৈরি করা উচিত।
এমন আরো ফাইল ফরমেট পাবেন সনদ ফরমেট পেইজে।